১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত: মনপুরা প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা

মোঃ অহিদুর রহমান, মনপুরা : বাংলাদেশের দিকে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলের ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসার পর মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর ‘মহাবিপদ সংকেত’ দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় মনপুরা উপজেলা প্রশাসনও ব্যাপক তৎপর রয়েছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রাতে মনপুরা আন্দির পাড়সহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আনা হয়েছে এবং তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

আজ সকাল থেকে উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা যেমন মনপুরা ইউনিয়নের তুলাতলী মেঘনার পাড়, পশ্চিম পাশের সীট্রাক ঘাট, পূর্ব পাশের লঞ্চ ঘাট, দাসের হাট মেঘনার পাড়সহ বেশ কয়েকটি যায়গা পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউএনও।
উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। ৭৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খুলে রাখা হয়েছে। সচেতনতামূলক মূলক মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।

সিপিপি উপজেলা টিম লিডারের নের্তৃত্বে প্রায় ৮ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাদের কার্যক্রম চালাতে দেখা গেছে। তারাও সাইরেন বাজানোর পাশাপাশি প্রচার চালাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সিপিপি মনপুরা উপজেলা টিম লিডার এরফান উল্লাহ চৌধূরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় এর পূর্ববর্তী যাবতীয় কাজ চলছে এবং পরবর্তীতে যদি প্রয়োজন হয় এজন্য মেডিকেল টিম এবং উদ্ধারকারী টিম প্রস্তুত রয়েছে। আমরা এখন মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, গতকাল আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আজকে যেন সব মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যায় এজন্য আমরা তৎপর রয়েছি। শুকনো খাবার মজুত রয়েছে।

মনপুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সভাপতি শেলিনা আক্তার চেীধুরী বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
শীর্ষবাণী/প্রতিনিধি/এনএ