সাকিবকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়া সেই জুয়াড়ি নিষিদ্ধ

সাকিব আল হাসানকে ফিক্সিং করিয়ে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন ভারতের কুখ্যাত জুয়াড়ি দীপক আগারওয়াল। অবশ্য তার ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি বাংলাদেশ সেরা ক্রিকেটার। সেই জুয়াড়ির পাতা ফাঁদে পা দেননি তিনি। তবে তা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানানোয় দুই বছর সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছেন– সময়ের অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এর মধ্যে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা।

এবার সেই আগারওয়ালকে নিষিদ্ধ করল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আগামী দুই বছর কোনো ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারবেন না তিনি। তবে দোষ স্বীকার করায় এর মেয়াদ ছয় মাস স্থগিত রাখা হয়েছে।

যদিও দীপকের এ শাস্তির সঙ্গে সাকিবকে দেয়া প্রস্তাবের কোনো সংযোগ নেই। আইসিসির তদন্তে বাধা দেয়া এবং বিলম্ব করানোর অপরাধে তার ওপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ ঝুলেছে।

অতীতে কয়েকবার আগারওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭ সালে তাকে আটক করে পুলিশ। তবে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান তিনি। এর প্রধান কারণ ছিল– জুয়াকে এখনও ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না।

এ মারপ্যাঁচে মুক্তি পেয়ে যান আগারওয়াল। ফলে সেসব কর্মকাণ্ডে আরও জড়িয়ে পড়েন তিনি। ২০১৮ সালে টি-টেন টুর্নামেন্টে সিন্ধি ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্যতম মালিক ছিলেন এ জুয়াড়ি। সেখানে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে। মূলত সেই ঘটনায় ফেঁসে গেছেন তিনি। ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ক্রিকেট সংক্রান্ত সব কাজে নিষিদ্ধ থাকবেন ভারতীয় জুয়াড়ি।

আগারওয়ালের বিরুদ্ধে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী একটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিপক্ষে বেটিং, ম্যাচ গড়াপেটা বা পাতানোর তদন্তে অসহযোগিতা, বাধা প্রদান এবং তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নীতিনির্ধারণী সংস্থা। তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস