বায়তুল মোকাররমে ঈদের সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত

ঢাকা অফিস : জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খান। তার সঙ্গে মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. শহীদুল্লাহ। আজ বুধবার ১০টা ৪৫ মিনিটে জাতীয় মসজিদে ঈদুল আজহার সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয় ঈদুল আজহার প্রথম ও প্রধান জামাত। প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান।

এর পর দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল আটটায়। এই জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান।

তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। এই জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।

এ ছাড়া চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০টায়। এই জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেম। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

ঈদের দুই রাকাত নামাজের পর বিশেষ খুতবা পড়েন ইমাম। খুতবা শেষে আল্লাহর কাছে পাপ মুক্তি ও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে মোনাজাত করা হয়।

বুধবার সকাল ৬টা থেকেই জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদের পথে রওনা হন মুসল্লিরা। করোনার কারণে অনেকেই দূরত্ব বজায় রেখে নামাজে দাঁড়ান। এ ছাড়া মাস্ক ছাড়া কাউকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

বায়তুল মোকাররমে নামাজের সময় নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করেন। ব্যাগ নিয়ে আসা মুসল্লিদের তল্লাশি করতে দেখা গেছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নামাজের পর কোলাকুলিও করেনি অধিকাংশ মানুষ।