বলিউড-ড্রাগ-মাফিয়া-যৌনতা, মুম্বাইয়ে নতুন কোন ঘটনা নয়

নিউজ ডেস্ক : ড্রাগের সঙ্গে বলিউডের নাম জড়িয়েছে বার বার। মাফিয়া কিংবা আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনদের সঙ্গে বলিউডের যোগাযোগও দীর্ঘদিনের। অবাধ যৌনতা যেন বলিউডের অঙ্গ। এই নিষিদ্ধ দুনিয়া নিয়ে গণমাধ্যম-এর অনুসন্ধান কয়েক কিস্তিতে। আজ প্রথম পর্ব।

বলিউড মানেই এক রুপালি কুয়াশা মাখা জগৎ। হলিউড এর পরেই বিত্ত, প্রতিষ্ঠা আর অর্থের ত্রিবেণী সঙ্গম- এই বলিউডকে বিশ্বের দ্বিতীয় সিনেমা পীঠস্থানের সম্মান দিয়েছে। পাশাপাশি বাইপ্রোডাক্টের মতো এসেছে মাদক, ডনদের আনাগোনা আর অবাধ যৌনতা।

একইসঙ্গে এসেছে অপরাধপ্রবণতা। আজ থেকে নয়। সেই ষাটের দশক থেকে বলিউডে এই আবহাওয়া বিরাজ করছে। কত প্রতিভা অকালে ঝরে গেছে এ জন্যে। কত সুন্দরী নারী লালসার যূপকাষ্ঠে নিজেকে বলি দিয়েছে। পারভিন বাবি থেকে আজকের রিয়া চক্রবর্তী বোধহয় সেই একই ধারার পথিক।

মাফিয়া ডনদের সঙ্গে বলিউড-এর যোগাযোগ সেই হাজি মাস্তানের আমল থেকে। হাজি মস্তান সেই সময়ের দুর্ধর্ষ ডন বলিউডি সিনেমায় লগ্নি করতেন কুইক রিটার্নের জন্য। অনেকে বলেন, ষাটের দশকের হিট ছবি অমিতাভ বচ্চন-শশী কাপুর অভিনীত দিওআর ছবিটি নাকি নির্মিত হয়েছিল হাজি মাস্তানের পয়সায়। দিলীপ কুমার, রাজ কাপুরের ইয়ার দোস্ত ছিলেন হাজি সাহেব। কিন্তু কোনোদিনই কোনও বলিউড নায়িকার দিকে চোখ তুলে তাকাননি।

আশির দশকে দাউদ ইব্রাহিম মুম্বাইয়ের বেতাজ বাদশাহ বনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলালো। ড্রাগ এর ব্যবহার আগেও ছিল, কিন্তু দাউদের হাত ধরেই তা গলি থেকে রাজপথে এলো। দাউদ সেই সময় নিয়ন্ত্রণ করতেন বলিউড। কোন স্টার কোন ছবিতে অভিনয় করবেন, কোন পরিচালক কোন ছবির পরিচালনা করবেন সব নিয়ন্ত্রণ করতেন দাউদ। রাজ কাপুরের রাম তেরি গঙ্গা মইলি ছবির নায়িকা মন্দাকিনী তখন দাউদের সঙ্গিনী। বিলাসবহুল পার্টি, মহার্ঘ পানীয়, দামি খাবারে ডুবে গেল বলিউড। আবিষ্কৃত হল আমফিফিটামিন গোত্রের ড্রাগ মারিজুয়ানার সঙ্গে মিশিয়ে টান দিলে পুরুষের যৌন ক্ষমতা বাড়ে, নারীর বাড়ে যৌন লিপ্সা। বলিউড আর পেছন ফিরে তাকায়নি।