দক্ষিণ আইচায় চেয়ারম্যান পুত্রের হামলায় নারী আহত হওয়ার অভিযোগে মামলা

নাফিছ পাটোয়ারী : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার মানিকা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে জমি জমাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পুত্রের হামলায় একই পরিবারের ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হচ্ছেন- ফাতেমা বেগম (৫০), রফিজল মাঝি (৬০) ও মো. ইউসুফ হোসেন (৩২)।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দৌলতপুর গ্রামের বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন সরকারি খাস জমিতে মসজিদের নামে একটি পুকুর পাড়ের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে বাড়িঘর ভাংচুরসহ দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এসময় মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তুহিন হাওলাদার ও সাহিন হাওলাদারের লাঠির আঘাতে নারীসহ ৩জন আহত হন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে আহত ফাতেমা বেগমের স্বামী রফিজল গণমাধ্যমকে জানান, আমার বসত ঘরের সীমানার সংলগ্ন মসজিদের পুকুর পাড়ের নাম দিয়ে তুহিন হাওলাদার ৬ হাত জমি দখল করার চেষ্টা করে আমি ও আমার স্ত্রী বাধা দিলে তুহিন ও তার ভাই সাহিনসহ ১০ থেকে ১২ জন মিলে আমাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করে। এসময় ধারালো দাঁয়ের আঘাতে আমার স্ত্রী ফাতেমার মাথা ও কপাল কেটে যায়। স্থানীয় সাজেদা বেগম, শাহে আলমসহ একাধিক এলাকাবাসী বলেন, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন দৌলতপুর ৬নং ওয়ার্ডে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন মসজিদের পুকুরটিতে সফিউল্লাহ চেয়ারম্যানের ছেলে তুহিন দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে সকল আয় ব্যয় ভোগদখল করে আসছে।

এ বিষয়ে তুহিন হাওলাদারের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার পরিবারের দাবি তুহিন হাওলাদার হামলার সাথে জড়িত ছিলেন না।

দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দৌলতপুর গ্রামে জমিজমাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় মানিকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যনের ছেলে তুহিন হাওলাদারসহ ৪ জনকে আসামি করে রফিজলের ছেলে বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শীর্ষবাণী ডটকম/এনএ