কুকরি মুকরি বেড়িবাঁধে স্লুইসগেট না থাকায় পানিবন্দি হাজারো মানুষ

আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন: বেড়িবাঁধের দশটি পয়েন্টে সুইচগেট না থাকায় টানা বৃষ্টি আর মেঘনা, তেতুলিয়া নদীর ফুঁসে ওঠা জোয়ারের পানি খুব সহজেই ভিতরে ঢুকে তলিয়ে গেছে কুকরি মুকরির গ্রাম থেকে গ্রাম৷ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ৷ রক্ষা পায়নি গবাদি পশু, মাছের ঘের থেকে সবজির ক্ষেত পর্যন্ত৷

সরেজমিনে দেখা যায়, কুকরি মুকরি ইউনিয়ন বেড়িবাঁধে মেঘনা তেতুলিয়া নদীর সাথে সংযুক্ত খালের উপর বিভিন্ন স্থানে ১০টি স্লুইজগেট নির্মাণের কথা ছিলো৷ কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কোন অগ্রগতি নজরে আসেনি৷ বেড়িবাঁধের সে পয়েন্ট দিয়ে খুব সহজেই উজানের পানি ঢুকে প্লাবিত হয় পুরো কুকরি মুকরি ইউনিয়ন৷ অবিরাম বর্ষণ আর নদীর ফুঁসে ওঠা প্রাকৃতিক জোয়ার-ভাটার পানিতে ধ্বংসের পথে নবনির্মিত অধিকাংশ রাস্তা, ফসলি জমি, মাছের ঘের ও সবজির ক্ষেত। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

এ অবস্থায় বেড়িবাঁধের উপর স্লুইজগেটগুলো নির্মাণ করতে কুকরি মুকরি ইউনিয়নের মানুষের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে৷

এ বিষয়ে কুকরি মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজনের নিকট জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি জানান, বেড়িবাঁধের উপর স্লুইজগেট নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ জোয়ারের পানির বন্দিদশা থেকে কুকরি মুকরি ইউনিয়নের মানুষকে বাঁচাতে বেড়িবাঁধের উপর স্লুইজগেট নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি।

কুকরি মুকরির স্থানীয় বাসিন্দা এইচ এম শাহীন শীর্ষবাণীকে জানান, বেড়িবাঁধের উপর বাবুগঞ্জ, হাজীপুর, নবীনগর, ভেবাজিয়া খালের পাড়, আমিনপুরসহ এমন ১০ স্থানে স্লুইজগেট নির্মাণ করলে আমরা মানবেতর জীবনযাপন থেকে মুক্তি পাব৷ এখন পানিবন্দি থাকায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে৷ অসংখ্য শিশু, নারী ও পুরুষ পানিবাহিত রোগে ভুগছেন৷

দৃষ্টিনন্দন পর্যটন এলাকা কুকরি মুকরিকে বাঁচাতে দ্রুততম সময়ে ভেড়িবাঁধের উপর স্লুইজগেট নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানিয়েছেন এলাকাবাসী৷
শীর্ষবাণী/এনএ