এসএসসিতে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭৯ দশমিক ৭০, বেড়েছে জিপিএ-৫

এম জুয়েল, বরিশাল : মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএস‌সি) পরীক্ষায় এবছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও। এবার বরিশাল বোর্ডে পাশের হার ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী।

যা গত বছর পাশের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ১৮৯ জন। সে হিসেবে গত বছরের তুলনায় এবছর পাশের হার বেড়েছে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে ২৯৪টি।

রোববার সকাল সা‌ড়ে ১০টায় ফলাফ‌লের প‌রিসংখা‌নের বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন। করোনা পরিস্থিতির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়নি বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে।

শিক্ষা বোর্ডের এই কর্মকর্তা শীর্ষবাণীকে জানান, বিগত বছরের ন্যায় এবছরও পাশ ও জিপিএ ৫ এর দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। মেয়েদের পাশের হার শতকরা হার ৮২ দশমিক ৬৭ আর ছেলেরা ৭৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। এরমধ্যে মেয়েরা জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ হাজার ৩’শ ৭৪টি আর ছেলেরা পেয়েছে ২ হাজার ১’শ ৯টি।

এবার মোট ১ হাজার ৪৩২ টি স্কুল থেকে ১৭৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৪’শ ৩৬ জন শিক্ষার্থী। আর পাশ করেছে ৮৯ হাজার ৬’শ ১৬ জন। এবছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে শতভাগ পাশ করেছে ৫৪টি স্কুল। যার মধ্যে বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ১৪টি, পটুয়াখালীতে ১০টি, পিরোজপুরে ৯টি, ঝালকাঠিতে ৯টি ও ভোলা এবং বরগুনায় ৬টি করে স্কুলে শতভাগ পাশ করেছে।

বরিশাল বোর্ডে জিপিএ ৫ এর দিক দিয়ে এদিয়ে রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগ। এ বিভাগে সর্বোচ্চ জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৩১জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছেলে ২ হাজার ১৯জন এবং মেয়ে ২ হাজার ১২জন।

মানবিক বিভাগে মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩২০জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী পেয়েছে ৪৬ এবং মেয়ে পেয়েছে ২৭৪ জন।

এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৩২জন। এর মধ্যে ছেলে ৩৪ জন এবং মেয়ে ৮৮জন।

এবছর বরিশাল বিভাগের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে পিরোজপুর জেলা। এখানে মোট অংশগ্রহণকারি পরীক্ষার্থী ১৩ হাজার ২৫৯ জন । পাশ করেছে ১১ হাজার ১৩৫ জন। এরমধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ৫ হাজার ২৭ জন এবং মেয়ে শিক্ষার্থী ৬ হাজার ১০৮ জন। জেলায় পাশের হার ৮৩ দশমিক ৯৮ ভাগ।

এর পর পরই রয়েছে পটুয়াখালী জেলা। এখানে মাট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ২১ হাজার ৬৪১ জন । পাশ করেছে ১৮ হাজার ০৫ জন। এখানে পাশের হার ৪৩ দশমিক ২০ ভাগ।

তৃতীয় স্থানে থাকা বরগুনা জেলায় মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ১২ হাজার ১২৪ জন । পাশ করেছে ১০ হাজার ৮০ জন। পাশের হার ৮৩ দশমিক ১৪ ভাগ।

চতুর্থ স্থানে থাকা ঝালকাঠি জেলায় মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ১০ হাজার ৫১৯ জন । পাশ করেছে ৮ হাজার ৩৬৮ জন। এ জেলায় পাশের হার ৭৯ দশমিক ৫৫ ভাগ।

পঞ্চম স্থানে বরিশাল জেলায় মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ৩৭ হাজার ৫৯৭ জন । পাশ করেছে ২৮ হাজার ৮৫২ জন। এখানে পাশের পার ৭৬ দশমিক ৭৪ ভাগ। সব শেষে রয়েছে ভোলা জেলা । এ জেলায় মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ১৭ হাজার ২৯৬ জন । পাশ করেছে ১৩ হাজার ১৭৬ জন। পাশের হার ৭৬ দশমিক ১৮ ভাগ।

এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩ ফেব্রুয়ারি। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ৫ মার্চ। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফল ঘোষণা করার কথা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।
শীর্ষবাণী/প্রতিনিধি/এনএ