ভোলায় ৩ জন নিহত, অসংখ্য বাড়িঘর বিধ্বস্ত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর আঘাতে ভোলা সদর, চরফ্যাশন ও দৌলতখান উপজেলায় গাছ ও ঘর চাপা পড়ে ৩ জন নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া ঝড়ের আঘাতে উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর। বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল ৩/৪ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

নিহতরা হলেন- ভোলা সদর উপজেলার মফিজুল হক, চরফ্যাশন উপজেলার মনিরুল ইসলাম এবং দৌলতখান উপজেলার খাদিজা বেগম।

জেলা কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, গত রাতে ৭৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৪ হাজার ৪৮২ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া বেড়িবাঁধ, মুজিব কিল্লা ও আশ্রয় কেন্দ্রে ২২ হাজার ৩৫১টি গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে।

তবে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য এখনো নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি কন্ট্রোল রুম।

ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের মফিজুল ইসলাম (৬০) নামে এক বৃদ্ধ ঘরের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন, চরফ্যাশনের হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় মনিরুল ইসলাম (৩০) স্বর্ণকার নামে এক ব্যক্তি গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। অপরদিকে দৌলতখান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘরের উপর গাছ পড়ে খাদিজা বেগম নামে (৮০) বছরের এক বৃদ্ধা মারা গেছেন।

এদিকে ঝড় বৃষ্টি থাকলেও এখনো বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে কয়েক লক্ষ লোক পানিবন্দী রয়েছে।

জেলা ব্যাপী মোবাইল নেটওয়ার্ক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি উপরে পড়ায় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

তবে জেলার সকল রুটে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।