আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাই বিমানবন্দরে প্রায় ১২৫ যাত্রী আটকে আছেন। জানা যায়, গতকাল শনিবার রাতে ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্সে করে তারা বাংলাদেশ থেকে দুবাই আসেন।
এ বিষয়ে দেশ থেকে আগত মুহাম্মদ আলমগীর নামে একজন যাত্রী জানান, গত রাতে ফ্লাই দুবাই এর চারটি ফ্লাইট করে আসা যাত্রীদের মধ্যে প্রায় ১২৫ জন যাত্রী আটকা পড়েছেন। তিনি ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে ফ্লাই দুবাই করে এসেছেন।
ভিসা স্ট্যাটাস রেড থাকার কারণে তাদের আটকানো হতে পারে বলে মনে করছেন ওই যাত্রী। তারসহ আটকে পড়াদের ভিসা স্ট্যাটাস গ্রিন ছিল না বলে জানান তিনি।
তবে ওই যাত্রী বলেন, দেশ থেকে আসার আগে তারা যেখান থেকে টিকেট নিয়েছিলেন সেখান থেকে টিকিটের সঙ্গে তাদের আইসিএ অ্যাপ্রোভালের একটি প্রিন্ট আউট পেপার দেওয়া হয়। যে পেপারটি তারা বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনকে দেখিয়েছিলেন এবং দেশ থেকে আসার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন।
তিনি আরও জানান, ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্সের টিকিট নেওয়ার সময় তাদেরকে আমিরাতে প্রবেশে কোনো সমস্যা হবে না জানানো হয়েছিল। এ কারণে তারা রেড সিগন্যাল থাকার পরও আমিরাতে এসেছেন।
আটকে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে দুবাই কনস্যুলেটের একটি প্রতিনিধি দল কিছুক্ষণ আগে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা ছবি তুলে তাদের অপেক্ষা করতে বলেছেন বলেও জানান মুহাম্মদ আলমগীর।
এ বিষয়ে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আটকে পড়া যাত্রীদের মধ্যে বিভিন্নভাবে ১৮ জনকে বিমানবন্দর থেকে বের করা হয়েছে। বাকি যাত্রীদের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমিরাত সরকারের নতুন নিয়ম সম্পর্কে না জানার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমিরাতের নিয়মে সৃষ্ট পরিস্থিতি কাভার না করলে যাত্রীদের পুনরায় দেশে ফিরে যেতে হবে।’
দুবাই কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর ফাতেমা জাহান এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবে কনফার্ম করে এখনো কিছু বলতে পারছি না।’
এর আগে গত ৮ অক্টোবর থেকে আমিরাত সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে ঘোষণা করা হয়, আইসিএ অ্যাপ্রোভাল ছাড়া দুবাই বিমানবন্দর দিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এরপরও এয়ারলাইন্সগুলো কেন এ ধরনের কাজ করছে? প্রবাসীদের এ সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন আমিরাত প্রবাসীরা।