সাংবাদিকতা পেশার বদনাম যেন না হয়, খেয়াল রাখুন : তথ্যমন্ত্রী

সাংবাদিকতা পেশার বদনাম যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে সাংবাদিকদের সংগঠন ও সাংবাদিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সমাজের দর্পণ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি উন্নত সমাজ গঠনেও ভূমিকা রাখতে হবে। সমাজে পিছিয়ে থাকা মানুষের জন্য সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে।

আজ শুক্রবার প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) উদ্যোগে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে সাংবাদিকতায় তিন দিনব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান,পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাচ্ছের হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মামুন মিয়া, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে তথ্যমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনি এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অপর এক অনুষ্ঠানে বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা কখনও সফল হবে না। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে,ধর্মের নামে বিএনপি-জামায়াতসহ একটি মহল গন্ডগোল লাগিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশবাসীকে এদের বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

ইসলামের নামে নৈরাজ্য করে মানুষের ঘরবাড়ি ও গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা হাটহাজারী ভূমি অফিসে অগ্নি হামলা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে, ফায়ার সার্ভিসে হামলা করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়গুলো কখনও ইসলাম সমর্থন করে না।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে, যারা স্বাধীনতাবিরোধী, সেই বিএনপি-জামায়াতচক্র এখনও দেশের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আর, তাদের সহযোগিতায় সুযোগ সন্ধানের অপেক্ষায় থাকা একটি মহল ইসলামের নামে গন্ডগোল সৃষ্টি করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়।’ আর, তারা যে এসব করে সরকারের উন্নয়নের ধারাকে থামিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত, দেশের সাধারণ জনগণ তা বোঝে এবং জনগণই এসব নৈরাজ্য প্রতিহত করবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সুতরাং ধর্মকে ব্যবহার করে যারা ব্যক্তিগত ও দলের স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তাদের এসব অপচেষ্টা কখনোই সফল হবে না।’