মনপুরায় ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে জন্ম নেয়া শিশুর নাম রাখা হয়েছে ‘আম্ফান’

মোঃ অহিদুর রহমান, মনপুরা থেকে: ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ঘূর্ণিঝড়ের রাতে হাসপাতালে জন্ম নেওয়া শিশুর নাম রাখা হয়েছে আম্ফান। ২০ মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের প্রচেষ্টায় এক প্রসূতি মায়ের সুস্থ ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ডাক্তার ও নার্সরা খুশিতে নবজাতকের নাম দেন আম্পান।

ওই প্রসূতি মা হলেন, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরযতিন গ্রামের বাসিন্দা ছালাউদ্দিনের স্ত্রী সামিয়া (২৫)। জানা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে গতকাল হাসপাতালে বেশ অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি হন প্রসূতি মা সামিয়া। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তাকে অন্যত্র নেওয়া যাচ্ছিল না। তারপরও ডাক্তার ও নার্সদের আপ্রাণ চেষ্টায় সুস্থ সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে। শিশুটিই ওই
মায়ের প্রথম সন্তান। খুশিতে ডাক্তার-নার্সরা জন্ম নেয়া ওই ছেলের নাম দেন আম্ফান। নবজাতক এবং তার মা বর্তমানে সুস্থ আছেন।

এব্যাপারে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদুর রশীদ তার ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন, উম্পুন বা আম্পান একটি থাই শব্দ যার অর্থ আকাশ। সত্যি শরতের আকাশের মত নির্মল আনন্দের এই ছেলে
সন্তানটি আম্ফানের তীব্রতার মাঝে গতকাল (২০ মে ২০২০) বিকাল ৪ টা ১০ মিনিটে আমাদের হাসপাতালে ভূমিষ্ট হয়। মা সামিয়া তার শিশু সন্তান নিয়ে আজ বাড়ি ফিরেছে। আমরা শিশুটির নাম দিয়েছি আম্ফান। দুর্গম মনপুরা স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারী, সি এইচ সিপি, নার্স, অফিস স্টাফসহ আমরা সকল ডাক্তার গর্বিত।
শীর্ষবাণী/প্রতিনিধি/এনএ