বন্ধ ঘোষণা হলেও মাদ্রাসায় অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা, সরে দাঁড়ালেন আল্লামা শফী

হাটহাজারী প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে মাদরাসার মজলিসে শূরার বৈঠকে আল্লামা শফী তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। বৈঠক শেষে মজলিসে শূরার একাধিক সদস্য এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ছাত্ররা মাদ্রাসায় অবস্থান করছেন। মাদরাসা ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মাদরাসার সবগুলো ফটকে তালা দেওয়া, বন্ধ রয়েছে ক্লাস। বাইরে মোতায়েন রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বেশকিছু দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন হাটহাজারী মাদরাসার ছাত্ররা।

তারা মাদরাসার সব কটি ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। মাওলানা আনাস মাদানীসহ কয়েকজন শিক্ষকের কক্ষে ভাঙচুর করা হয়। এ সময় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহীকে মাদরাসার ভেতরে পেয়ে মারধর করেন ছাত্ররা। আহত অবস্থায় তিনি এখন চট্টগ্রামের শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ছাত্রদের বিক্ষোভে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে বুধবার রাতে মদারাসার শূরা কমিটি মাওলানা আনাস মাদানীকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষাসচিব, মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর ছেলে। সেই সঙ্গে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক।

বিক্ষোভের শুরু থেকেই ছাত্ররা মাদরাসার মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় মাদরাসার বাইরে গেটের সামনে অবস্থান নেন র‍্যাব ও পুলিশের সদস্যরা।