বন্ধুকে খুন করে পালাতে গিয়ে…

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বন্ধুকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। খুন করার পর পালানোর সময় পুলিশের গাড়ির সামনে পড়ে জ্ঞান হারান তিনি। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত ফেরদৌস (৩০) ও তার বন্ধু রাকিব ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকার লোকমান হোসেনের বাড়ির ভাড়া থাকতেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকায় লোকমান হোসেনের বাড়িতে ওই খুনের ঘটনা ঘটে।

নিহত ফেরদৌস পটুয়াখালীর শুভডুগী গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে। তার বন্ধু ও অভিযুক্ত খুনি রাকিব শরীয়তপুরের পোপনচর গ্রামের সোবহান মিয়ার ছেলে।

নিহতের স্ত্রী সাদিয়া জানান, এক মাস আগে ফেরদৌসের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার স্বামীর সঙ্গে রাকিবের বন্ধুত্ব ছিল। ফেরদৌস ও রাকিবের মধ্যে পূর্বে কোনো শত্রুতা ছিল কি না, সে বিষয়ে তিনি জানেন না।

খুনের ঘটনা সম্পর্কে লোকমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া সুমন জানান, গতকাল রাত ১টার দিকে তিনি বাসায় ফিরলে গোসলখানা থেকে চিৎকার শুনতে পান। সেখানে গিয়ে দেখেন, রাকিব রক্তমাখা ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন এবং ফেরদৌস নিচে পড়ে আছেন। তখন তিনি চিৎকার দিলে বাড়ির ভাড়াটিয়ারা ছুটে আসেন। এ সময় রাকিব পালিয়ে যান।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মামুন বলেন, ‘রাকিব নামের এক যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় পঞ্চবটি মোড়ে এসে পুলিশের গাড়ির সামনে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার হাত কেটে অনেক রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে জানতে পারি, সে তার বন্ধুকে খুন করেছে।’

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার অভিযোগে রাকিবকে আটক করা হয়েছে। তিনি অসুস্থ থাকায় এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
ভিন্নবার্তা ডটকম/এসএস