ইরানের এলিট ইসলামিক রেভুলুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) এক সিনিয়র অফিসারকে রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়েছে। দুই মোটরসাইকেল আরোহী এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।
রোববার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় তেহরানের মুজাহিদিন-ই-ইসলাম স্ট্রিটে তার বাড়ির সঙ্গে ঘটনাটি ঘটে বলে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ইরনা জানায়, খোদায়ারিকে দেহে পাঁচটি বুলেট বিদ্ধ হয়েছিল। আইআরজিসি তাকে কর্নেল বলে জানিয়েছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইআরজিসি রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, হাসান সৈয়দ খোদায়ারিকে বিপ্লবের শত্রুরা হত্যা করেছে। তিনি কুদস বাহিনীর সদস্য হিসেবে ইতোপূর্বে সিরিয়ায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দেখা যেতে পারে। তেহরানে আগে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সবই ছিল পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সম্ভবত এবারই আঞ্চলিক নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ নিহত হলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার আরও মনে হচ্ছে যে ইরানিরা সরাসরি কাউকে অভিযুক্ত করার নীতি থেকে সরে আসছে। এবার তারা বলছে না যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে ইসরাইল। হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা দায়ী, তা তারা এখনো সুস্পষ্টভাবে বলেনি। তারা হত্যাকাণ্ডের জন্য কাউকে দায়ী করার বদলে বলছে বিপ্লবের শত্রুদের কথা।
তেহরানে সেন্টার ফর মিডল ইস্ট স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো আবাস আসলানি বলেন, প্রভাবশালী এক আইআরজিসি ব্যক্তিত্বকে হত্যা করে মনোস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার অর্থনৈতিক সংস্কার যখন করছে, তখন দেশে কিছু বিক্ষোভ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এই প্রেক্ষাপটে হত্যাকাণ্ডটি ঘটল।
এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেকে মোটরসাইকেল আরোহী হত্যা করেছিল। সূত্র : আলজাজিরা