চরফ্যাশনে জাল সনদে আনসার-ভিডিপির টিম লিডার নিয়োগের অভিযোগ

আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন: চরফ্যাশন উপজেলার চরকলমী ইউনিয়ন আনসার বিডিপির দল নেতা হিসাবে বাবুল হোসেনকে জাল সনদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ এই বিষয়ে ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার চরকলমী গ্রামের খায়রুল ইসলাম নামে জনৈক ব্যক্তি আনসার ও প্রতিরক্ষা বাহিনী ঢাকা বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন। এর অনুলিপিও বিভিন্ন দপ্তরেও দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরকলমীর মো. হেলাল উদ্দিনের পুত্র মো. বাবুল হোসেন আঞ্জুরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ দেখানো হয়েছে। তিনি ২০১০ সালের বিজ্ঞান বিভাগে বিশেষ পাশ সনদে উল্লেখ থাকলেও দেখা যায় তার ফলাফলে পাশের সন রয়েছে ২০০০ সাল। প্রদর্শিত মূল সনদে শিক্ষাবর্ষ ২০০৭/-০৮ এবং অনলাইনে প্রদর্শিত নম্বর ফর্দে সেশন ১৯৯৭-৯৮ইং, রোলনং ৯০৬৬০৯। ওই সালে আঞ্জুর হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। বাবুলের সনদে রয়েছে যশোর শিক্ষাবোর্ড।

এসএসসির সনদ অনুযায়ী জম্ম তারিখ ৬ জানুয়ারি ১৯৮৪ হলেও জাতীয় পরিচয় পত্রে রয়েছে ৬ জানুয়ারি ১৯৯৪ইং। জাতীয় পরিচয়পত্র ও এসএসসির সনদে জাল জালিয়াতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ভোলা জেলা কমান্ডার এই মোঃ বাবুল হোসেনকে আনসার বিডিপির চরকলমী ইউনিয়ন দল নেতা হিসাবে উপজেলা আনসার ও বিডিপি কমান্ডারকে নিয়োগ দিয়ে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন অভিযোগ রয়েছে।

দুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হোসেন বিপ্লব বলেন, ২০১০সালে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ৮ম ও এসএসসি শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে। সনদে যশোর শিক্ষা বোর্ড উল্লেখ থাকার প্রশ্নই আসেনা।

এ বিষয়ে মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, আমার এসএসসির সনদ জাল নয়। বয়স কমাতে গিয়ে ভুল হয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলা আনসার ও বিডিপি কর্মকর্তা হাসিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। আমার পূর্বের অফিসার প্রশিক্ষণের জন্যে পাঠিয়েছি সে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।

ভোলা জেলা কমান্ডার মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন, বাবুলের পিতা সাবেক ইউনিয়ন আনসার ও বিডিপির টিম লিডাল ছিল। পোষ্য কোটায় ছেলের জন্যে এই নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।
শীর্ষবাণী/এনএ