চরফ্যাশনে ১০দিনেও শিকল পরা খাদিজা খুনের রহস্য উদঘাটন হয়নি

আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন : চরফ্যাশন পৌরসভা ১নং ওয়ার্ডে পানিভর্তি বিল থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত খাদিজার (১৪) খুনের রহস্য ১০ দিনেও উদঘাটন হয়নি৷ তবে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে ভোলা আঞ্জুমানে দাফন করা হলেও এখন তদন্ত চলমান অবস্থায় লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে৷
গত ১২ সেপ্টেম্বর চরফ্যাশনে উদ্ধার হওয়া এক তরুণীর লাশ শনাক্তকরণে অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া যে তথ্য প্রকাশ করেছে অবশেষে থানা পুলিশের তদন্তে সেটাই সত্যি প্রমাণিত হলো৷ উদ্ধার হওয়া তরুণী চরফ্যাশন জাহানপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের ফারুক মিয়ার মেয়ে খাদিজা৷

মেয়ের এমন রহস্যময় নিশংস মৃত্যুর খবর শুনে একনজর দেখতে আসেনি বা না চেনার ভান করে লাশ গ্রহণও করেনি তার বাবা৷ অবশ্য যে বাবা তার মা হারা মেয়েকে পায়ে শিকল বেঁধে নির্যাতন করতে পারে, মেয়ের অমতে বয়স্ক পুরুষের নিকট অর্থের লোভে বিয়ে দিতে পারে, নির্যাতনের সময় মেরে ফেলার হুমকি দিতে পারে এমন পাষণ্ড পিতা মেয়ের লাশ গ্রহণ না করাটাই স্বাভাবিক৷ মেয়ের নিশ্চিত মৃত্যু হয়েছে এ খবর শুনে যে বাবা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়, এখন পর্যন্ত মেয়ের বা মামলার কোন খবর নেয়নি, সে বাবা কখনোই মেয়ের খুনের দায় এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য সচেতন মহলের৷ পুলিশের তদন্তে প্রকৃত খুনের রহস্য এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন চরফ্যাশনের সাধারণ জনগণ৷

জানা যায়, চরফ্যাশন থানা পুলিশের এক সদস্য স্বপ্রণোদিত হয়ে খাদিজাকে খুন এবং লাশ গোপন করার অভিযোগ এনে অজ্ঞাত আসামি করে চরফ্যাশন থানায ১২সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন৷ মামলা নং ০৭ ধারা ৩০২/২০১. ৩৪ পেনাল কোড৷ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম শীর্ষবাণীকে জানান, মামলাটি তদন্তাধীন, কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি, কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে৷ তবে মেয়েটির পরিচয় পাওয়া গেছে৷

চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক৷ আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক চেষ্টা করব৷ এ মামলার অগ্রগতি নিয়ে আমাদের কোনো গাফিলতি বা সময় ক্ষেপণের সুযোগ নেই৷
শীর্ষবাণী/এনএ