ওসমানী বিমানবন্দরে ই-গেট চালু, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন দুর্ভোগ কমবে

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন ইলেকট্রনিক গেট (ই-গেট) চালুর দেড় বছরের মাথায় এবার প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এটি চালু করা হয়েছে। রোববার দুপুরে ই-গেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বন্দরে ছয়টি ই-গেটের উদ্বোধনকালে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ই-গেটের ফলে সব ধরনের যাত্রী, বিশেষ করে প্রবাসী যাত্রীদের এখন থেকে দুর্ভোগ লাঘব হবে। কারণ, প্রবাসীরা দেশে আসলে নানা ধরনের দুর্ভোগের মুখে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটের বিরাট সংখ্যক মানুষের দ্বৈত্য নাগরিকত্ব আছে। তাদেরকে নো ভিসা সার্ভিস আরও বেগবান করতে হবে।’ তিনি সিলেটে পাসপোর্ট করতে ভোগান্তি ও নানা অভিযোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এখানে আরেকটি পাসপোর্ট অফিস করলে ভালো হবে।’

উদ্বোধনকালে বক্তব্য দেন, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নুরুল আনোয়ার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান প্রমুখ।

ওসামানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ সমকালকে জানিয়েছেন, ছয়টি ইমিগ্রেশন ই-গেটের মধ্যে তিনটি বহির্গমন ও তিনটি প্রবেশের জন্য। এতে শুধু মাত্র ই-পাসপোর্টধারী সুবিধা পাবেন। ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে একজন যাত্রীর ইমিগ্রেশন শেষ হবে।

সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মহের উদ্দিন শেখ জানিয়েছেন, ই-গেট চালুর ফলে যাত্রীরা দ্রুত সেবা পাবেন। প্রবাসীদের কথা চিন্তা করেই সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ই-গেট চালু রয়েছে। ২০২১ সালের ৩০ জুন সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ই-গেট কার্যক্রম শুরু হয়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বসানো ই-গেট চালুর দেড় বছরের মাথায় সিলেটের বন্দরে চালু হলো। ই-পাসপোর্ট এর মাধ্যমে একজন বিদেশগামী কারও সাহায্য ছাড়া নিজেই নিজের ইমিগ্রেশন করতে পারবেন।