‘ইসরাইলি পণ্য বর্জন করেও ফিলিস্তিনকে সহায়তা করতে পারেনঃ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

ঢাকা অফিসঃ তরল পানীয় পেপসি, কোকাকোলাসহ ইসরাইলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। তিনি বলেন, মুসলমানদের পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও জনগণকে রক্ষার জন্য সবাইকে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করতে হবে এমন নয়, অন্যভাবেও সাহায্য করা যায়।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুর ২ টায় বাংলাদেশে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসে এক মতবিনিময় সভায় এই কথা বলেন তিনি।
ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজেরাই ভিয়েতনামে পরাজিত হয়েছে। কেউ যদি আমাদের জন্য সংগ্রাম করতে চায়, তাহলে বিভিন্নভাবে সংগ্রাম করা যায়। আমরা যদি পেপসিকোলা, কোকাকোলা তিন মাস পান করা বন্ধ করি, তখন তারা চিৎকার করতে থাকবে। আমরা যদি এক সপ্তাহ ইউএস ডলার ব্যবহার করা বন্ধ করি তাহলে এর ফলাফল কী হয় আপনারা দেখতে পাবেন। আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য কেনা বন্ধ করি তাও কাজ হবে। এভাবে আমরা অনেক কাজ করতে পারি। সুতরাং অস্ত্র নিয়ে সেখানে গিয়ে যুদ্ধ করতে হবে এমনটা নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‌’ফিলিস্তিনি জনগণের নাগরিক অধিকার ৭৩ বছর ধরে বঞ্চিত। ইসরাইল প্রমাণ করেছে, তারা শুধু ফিলিস্তিনের শত্রু না, তারা মানবতার শত্রু, তারা আন্তর্জাতিক কমিউনিটির শত্রু, তারা পৃথিবীর শত্রু। সেজন্য আমরা সব সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দাবি করি, তাদের এই ব্যাপারে অবশ্যই কিছু করতে হবে।
ফিলিস্তিনি জনগণের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, স্বাধীনতা, মর্যাদা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। অন্য জন্মগ্রহণ করা মানুষের মতো আমরাও মানুষ। পৃথিবীর অন্যান্য মানুষদের মতো আমরাও স্বাধীন। মানুষের প্রধান এসব মৌলিক অধিকার নিয়ে ইউরোপ-আমেরিকা সোচ্চার। তারা নিজেরাও এটি উপভোগ করে। কিন্তু যখন ফিলিস্তিনের বিষয় আসে তখন ইউরোপ-আমেরিকা নিশ্চুপ থাকে। এই ধরনের দ্বিচারিতা বন্ধ হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সহযোগিতা করছে জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘৩ হাজার মাইল দূর থেকেও বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একই সময় বাংলাদেশ পরিষ্কারভাবে বিশ্ব ও ইসরাইলকে জানিয়ে দিয়েছে, ফিলিস্তিনিরা একা নয়। আমরা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ, প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের দেশের জনগণও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘আমি সাতদিন ধরে দেখছি, বাংলাদেশিরা আমাদের ঢাকার দূতাবাসে আসছে সাহায্য করার জন্য। অনেকে বিভিন্ন কাজ ফেলে আমাদের এখানে আসছে, আমাদের দেশের মানুষের জন্য সহমর্মিতা জানাতে।’