অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ‘আরও ট্রায়াল দরকার’

ঢাকা অফিস : অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মিলে অ্যাস্ট্রাজেনেকা যে টিকা তৈরির চেষ্টায় আছে তার অতিরিক্ত ট্রায়াল প্রয়োজন বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।

একটি ভ্যাকসিনের সাধারণত তিনটি ট্রায়াল হয়। তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে। সেখানে দুই ধরনের ডোজের তথ্য বিশ্লেষণে একটিতে ৯০ শতাংশ এবং অন্যটিতে ৬২ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে।

নতুন ট্রায়ালে কম ডোজের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার সিইও পাস্কাল সরিওট ব্লুমবার্গ নিউজকে বলেছেন, ‘আমরা ভালো কার্যকারিতা পেয়েছি। কিন্তু এর বৈধতা পেতে আমাদের অতিরিক্ত গবেষণা দরকার।’

‘আরেকটি আন্তর্জাতিক গবেষণা করা হতে পারে। এবার বেশি সময় লাগবে না। কারণ আমরা উচ্চ কার্যকারিতার প্রমাণ পেয়েছি। এখন অল্প রোগী হলেই চলবে।’

তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে একটি সাব-গ্রুপের শরীরে টিকাটি ৯০ শতাংশ কার্যকরী হওয়ার পর কিছু বিজ্ঞানী ভ্যাকসিনটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, দুই ধরনের রেজাল্ট আসায় কিছু অঞ্চলে এর অনুমোদন পেতে সমস্যা হতে পারে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে ইতিমধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। ফের ট্রায়াল হলে ভ্যাকসিন আসতে সময় লাগবে কি না, সেটিই এখন প্রশ্ন।

তবে সরিয়ট বলছেন, নতুন ট্রায়ালের কারণে অনুমোদন পেতে সমস্যা হবে না।

ব্রিটিশ সরকার ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনটির অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।