৫৫ দিন পর কবর থেকে তোলা হলো ফারুকের লাশ

ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ওমর ফারুকের (১৬) লাশ ৫৫ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে চরফ্যাসনের দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পারিবারিক কবরস্থান থেকে আদালতের নির্দেশে লাশটি তোলা হয়।

ওমর ফারুক ওই এলাকার মিলন ফরাজীর ছেলে। সে ঢাকার একটি মুদি দোকানে কাজ করত। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিল ওমর ফারুক। পথে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার আল্লাহ করিম মসজিদ ফুট ওভারব্রিজের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে সে মারা যায়। গত ৬ আগস্ট স্বজনরা গ্রামের বাড়ি চরফ্যাসন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে এনে দাফন করেন। এর পর ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে নিহতের বাবা মিলন ফরাজী বাদী হয়ে ৫৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ময়নাতদন্তের জন্য ওমর ফারুকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেক মূহিত ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেক মূহিত জানান, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিহত ওমর ফারুকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।