সিঙ্গাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে সংরক্ষিত ইউপি সদস্যর বাড়িসহ একাধিক বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
সোমবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ভূমদক্ষিণ গ্রামের শরীফুল্লাহ গংদের ৭০-৮০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার সড়জমিনে গেলে হামলার শিকার মোঃ মিষ্টার জানান, একই দাগের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে অভিযুক্ত শরীফুল্লাহদের সাথে। রাতের খাবার খেয়ে যখন শুয়েপড়ি তখন শরীফুল্লাহ, আব্দুল, নয়ন, মোতালেব, মামুন, আলতাফ, জাহাঙ্গীর, দুলাল, স্বপনসহ বহিরাগত প্রায় ৭০-৮০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রসহ অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়িঘর কুপিয়ে দরজা ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হামলা থেকে বাঁচার জন্য জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে সিঙ্গাইর থানা পুলিশের সহায়তায় আমরা রক্ষা পাই। আমরা এখনো আতঙ্কিত।
হামলার শিকার আরশাদ আলী, হাবেজা খাতুন, নাজমা বেগম, গ্রাম পুলিশ শাহাদাত হোসেনসহ সকলেই অতর্কিত হামলার বর্ণনা দিয়ে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে কষ্টের টাকা ও স্বর্নালংকার লুটে নিয়ে যায়। তারা এ ঘটনায় সিঙ্গাইর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন।
স্থানীয় মহিলা মেম্বার মনোয়ারা খাতুন বলেন, আমার পুরাতন বাড়িতে আমার ঘরসহ ৬টি ঘর কুপিয়ে, ঢিল দিয়ে এবং লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে শরীফুল্লাহ ও তার ছেলেরাসহ ৭০-৮০ জন বহিরাগত। অসহায় এক নারীর অটোগাড়ি কেনার টাকা, স্বর্নালংকার, আরশাদ আলীর টাকাসহ নগদ অর্থ ও স্বর্নালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। এঘটনায় সিঙ্গাইর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রতিপক্ষ শরীফুল্লাহর বাড়িতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে সিঙ্গাইর থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) আবু হানিফ বলেন, হামলার ঘটনা শুনেছি। রাতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।